- নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণার গেজেট প্রকাশে রিট শুনানির তালিকায়
- আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার জিডি
- পাকস্থলিতে ইয়াবা পাচার, নারীসহ দুই কারবারি আটক
- রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৫৬
- বিরোধী দল ও মতকে দমনে আরও হিংস্র রূপে সরকার
- ফরিদপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় বাস চলাচল শুরু
- বিকেলে ১৩ দলের সঙ্গে ইসির বৈঠক
- এবার নিষিদ্ধ ফুচকা বিক্রি
- পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খোলা সেই যুবকের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
- অভিনেত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ, গ্রেফতার অভিনেতা

» ‘জুরাইনে পুলিশের ওপর হামলা, অপরাধী যেই হোক তার বিচার হবে’
প্রকাশিত: ১৪. জুন. ২০২২ | মঙ্গলবার

জাতির সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম।। ঢাকার জুরাইনে মোটরসাইকেল আরোহী এক দম্পতিকে আটকানোর পর কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অপরাধী যেই হোক তার বিচার হবে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
ওই মামলায় দুই আইনজীবীর রিমান্ড মঞ্জুরের পর মামলার নথি তলব করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতের বিষয়ে শুনানির সময় মঙ্গলবার (১৪ জুন) এ মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
এ সময় আপিল বিভাগ রিটের পক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা বিচারিক আদালতে দুই আইনজীবীর জামিন আবেদন করার পরামর্শ দেন।
আদালতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ যদি অপরাধ করে তার বিচার হবে আর যদি আইনজীবী অপরাধ করলে তারও বিচার হবে।
আদালতে আইনজীবীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মুরাদ রেজা, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার অনিক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন।
এর আগে গত ১২ জুন রাজধানীর জুরাইনে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় দুই আইনজীবীর রিমান্ড মঞ্জুরের পর ওই মামলার নথি তলব করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ওই হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এমন তথ্য জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পরে রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুভির নন্দী দাস বলেন, আমরা হাইকোর্টে আবেদন করার পর গত ৯ জুন মামলার নথি তলব করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেওয়া ওই আদেশ চেম্বার জজ আদালত স্থগিত করেছেন। আর ঘটনার বিষয়ে আদেশ দেওয়া হয়েছে গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন)। ওইদিনই বিকেলে আপিল আবেদন নিয়ে যান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। কিন্তু আমরা ওই বিষয়ে অবগত না, রাষ্ট্রপক্ষ আমাদের জানাননি। আজ আদালতে গেলে পরে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এর আগে নথি তলবের বিষয়টি আজ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার আদালতকে জানান, সকালে বিশেষ চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন। সোমবার (১৩ জুন) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির জন্যে নির্ধারিত রয়েছে। এরপর আদালত শুনানি মুলতবি করেন।
রাজধানীর জুরাইনে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগের মামলায় দুই আইনজীবী রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত। এরপর এক রিটের শুনানি নিয়ে গত ৯ জুন এ মামলার নথি তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রিমান্ড কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছিলেন আদালত।
জুরাইনের এ ঘটনায় দুই আইনজীবীকে রিমান্ডে নেওয়ায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট করেন আইনজীবী সৈয়দ ফজলে ইলাহীর পক্ষে আইনজীবী এবিএম শিবলী সাদেকীন।
গত ৮ জুন রাজধানীর জুরাইনে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় দুই আইনজীবীসহ ৫ জনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রিমান্ড আদেশ দেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শিক্ষানবিশ আইনজীবী সোহাবুল ইসলাম রনি ও তার শ্যালক আইনজীবী ইয়াসিন আরাফাত, স্থানীয় বাসিন্দা মো. শরীফ, মো. নাহিদ এবং মো. রাসেল।
অন্যদিকে, মামলার একমাত্র নারী আসামি আইনজীবী ইয়াসিন জাহান ভুইয়া নিশানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। তবে আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে রিমান্ড আপাতত স্থগিত রয়েছে বলেও জানা গেছে।
জানা যায়, গত ৭ জুন রাজধানীর জুরাইন রেলগেট দিয়ে উল্টোপথে আসা একটি মোটরসাইকেলকে গতিরোধ করলে সার্জেন্ট আলী হোসেনের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান মোটরসাইকেল আরোহী সোহাগ উল ইসলাম রনি ও তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে লোকজন জড়ো হওয়ায় ওই এলাকার ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) বিপ্লব ভৌমিক কয়েকজন কনস্টেবল নিয়ে এসে তাদের সবাইকে মীমাংসার জন্য সড়কে থাকা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নিয়ে যান। এসময় মোবাইলে ইয়াসিন জাহান নিশান বিষয়টি তার ভাই ইয়াসির আরাফাতকে জানান। তিনি লোকজন নিয়ে এসে পুলিশ বক্সে প্রবেশ করেন। এরপর পুলিশ বক্স ভেঙে তারা বের হয়ে আসেন।
পুলিশ বক্সের গ্লাস দিয়ে সার্জেন্ট আলী হোসেনকে আঘাত করলে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা কেটে যায়। উত্তেজিত হামলাকারীরা ইউনিফর্মে থাকা সবার ওপরই হামলা করে। এসময় শ্যামপুর থানার এসআই উৎপল চন্দ্র ও এসআই সাকিব সেখানে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়।
ওই ঘটনায় গত ৭ জুন সার্জেন্ট আলী হোসেন শ্যামপুর থানায় পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের কাজে বাধা, হত্যাচেষ্টা ও সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় এজাহারভুক্ত তিনজনের নাম উল্লেখসহ ৩৫০/৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। দুই আইনজীবীর রিমান্ড বিষয়ে নথি তলবের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার জজ আদালত।
সর্বাধিক পঠিত খবর
- ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে বাসায় যাত্রাবাড়ীর ওসি
- আজি বসন্ত
- প্রধানমন্ত্রীর নিকট আর্থিক সহায়তা দাবিতে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন
- শিবলী সাদিক এমপিকে দিনাজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা
- বাংলাদেশ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকারা ডেলিভারী সেবা ও অন্যান্য সেবার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের রোগীর সেবা করেও কোন স্বীকৃতি পাননি